চকরিয়া প্রতিনিধি
ভূয়া রিপোর্টে পুলিশের যোগসাজশে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেলেন সাবেক সেনা সদস্য নুরুল আমিন। এ নিয়ে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর মালিক আরিফ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে চকরিয়া উপজেলার
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আবুল হাশেম কে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী আমিন এবং তার পরিবারের সদস্য সহ সাঙ্গুপাঙ্গু নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
তবে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর আসল রিপোর্ট কে একদম হুবহু নকল করেছে নুরুল আমিন। তারা কম্পিউটারে ভূয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে পুলিশের যোগসাজশে হাশেমের এজাহার দেখে সেটিও নকল করেছে আমিন এবং আবুল হাশেমের মামলায় যারা সাক্ষী হয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে নুরুল আমিন । এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে আবুল হাশেমের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বেশকয়েজন সমঝোতার কথা বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে । আবার একদিকে সমঝোতার কথা বলছে অন্য দিকে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে এমনটাই জানালেন ভুক্তভোগী পরিবার।
নুরুল আমিন গত ৫ নভেম্বর আপনাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কোন রিপোর্ট নিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর মালিক আরিফ বলেন, আমাদের থেকে কোন রিপোর্ট নেয় নাই। নুরুল আমিন একজন প্রতারক এইটা ও নিজে তৈরি করছে। আমাদের ডায়াগনিস্টক সেন্টারের কোন ডকুমেন্টে নাই এবং আমাদের যেখানে এন্টি হয় অনলাইনে, খাতায় ও মেমোতে কোন জায়গায় এইটা এন্টি নাই। আমরা অনলাইন থেকে রিপোর্ট দিয়ে থাকি সেখানেও এন্টি নাই। এইটি বানোয়াট ও প্রতারক মূলক কাজ করেছে। ওরা কম্পিউটার থেকে তৈরি করে প্রতারণা করে মামলা করেছে । এইটার জন্য আমি প্রতিক্রিয়া চাই এবং ওর বিরুদ্ধে আমি একশন নিবো এবং থানায় অভিযোগ দিয়েছি এইটা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে ।
এদিকে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে । কিন্তু মালিক পক্ষ যেটাকে নকল বলছে সেটা আমরা কিভাবে বলবো কোনটা আসল আর কোনটা নকল। কারণ আমাদের কাছে কোন এক্সপার্ট নেই। আমি অভিযোগের ভিত্তিতে বিবাদী নুরুল আমিন কে খোঁজতে সুরাজপুর তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু কাউকে পাই নাই। এই অভিযোগে আর একজন কে বিবাদী করা হয়েছে তার রট সিমেন্টের দোকানে গিয়েছি তাকেও পায় নাই।
ভুক্তভোগী আবুল হাশেম গণমাধ্যম কে বলেন, নুরুল আমিন তার সাঙ্গুপাঙ্গু দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমি চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে চকরিয়া থানায় গিয়ে ওসিকে বিস্তারিত বলি এবং থানায় এজাহার দায়ের করি। কিন্তু আসামিরা আমার এজাহার নকল করে নুরুল আমিন আমাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি তারা যে সার্টিফিকেট দিয়ে মামলা করেছে সেটাও ভূয়া। তাদের বিরুদ্ধে শেফা ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস্ চেম্বার এর মালিক চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ।
তিনি বলেন, ওসি তাদের মামলা আগে দেখিয়ে আমাদের মামলা কে কাউন্টার মামলা দেখিয়েছে। তারা যে মামলা করেছে তা-ও মিথ্যা ।
হাশেমের পরিবারের সদস্যরা বলেন,
আমরা বারবার মামলার কথা বললেও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যেন অন্য কিছু বুঝাতে চাচ্ছে । আর তিনি মামলা নিতে গড়িমসি করে এবং পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার মহোদয় কে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক আমাদের সামনে ওসিকে ফোন দিয়ে মামলা নিতে বলেন। তবে তিনি বলার পরও টাকার বিনিময়ে মামলা নেন ওসি।
তারা আরও বলেন, কিন্তু ওসির যোগসাজশে নুরুল আমিন ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে । ওদের মামলা আগে নিয়ে আমাদের টা কাউন্টার মামলা দেখিয়েছে। সব তাদের পরিকল্পনা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। যে রিপোর্ট দিয়ে মামলা করেছে সেটা ভূয়া রিপোর্ট বলে জানতে পারি । তার কারণ হলো শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তাদের নামে থানা অভিযোগ করেছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছে।
Leave a Reply